Home » Press & News » News » ‘বর্ণপরিচয়’ কী পাঠ পড়াল প্রিয়াঙ্কা সরকারকে?
মানতেই হবে, যিনি এতকাল সম্পর্ক নিয়ে কথা বললেন, ছবি বানালেন তিনি এবার নিজের স্বাচ্ছন্দ্য ছেড়ে একদম নতুন জঁরে। আমি অভিভূত। থ্রিলার বানাচ্ছেন মৈনাক ভৌমিক। এবং বাস্তবে যেমন ঘটে ঠিক তেমন ভাবেই পর্দায় তিনি ভালো-মন্দ, সাদা-কালোকে ডিটেকশন টেবিলে ফেলে দেখার চেষ্টা করেছেন। আমার মনে হয়, এর জন্যই দর্শকের ভালো লাগবে বর্ণপরিচয়। আর পর্দায় যে গল্প দেখাতে চলেছেন মৈনাকদা সেটা কিন্তু যখনতখন, যে কারোর সঙ্গেই ঘটতে পারে। ফলে, ছবি করতে করতেই আমরা ভীষণ থ্রিলড হয়েছি।
মৈনাক ভৌমিকের (Moinak Bhowmick) মতে, ‘১০ বছরেও বয়স বাড়ল না মেয়েটার। কিন্তু অভিনয় প্রতিভা বেড়ে দ্বিগুণ!’ কেন এই তকমা দিলেন পরিচালক? ছবিতে যীশুর ঘরনি তিনি। কতটা মানালো ‘বাচ্চা মেয়ে’কে? ব্যক্তি জীবনে পুলিশ অফিসারের বউয়ের মতই কি তিনি ডাকাবুকো-সাহসী? ‘বর্ণপরিচয়’ (Bornoporichoy) কী পাঠ পড়াল প্রিয়াঙ্কা সরকারকে (Priyanka Sarkar)? জমাটি আড্ডায় জেনে নিলেন উপালি মুখোপাধ্যায়
প্রশ্ন: মৈনাক ভৌমিক এবং থ্রিলার—- কী বলবেন এই নিয়ে?
উত্তর: মানতেই হবে, যিনি এতকাল সম্পর্ক নিয়ে কথা বললেন, ছবি বানালেন তিনি এবার নিজের স্বাচ্ছন্দ্য ছেড়ে একদম নতুন জঁরে। আমি অভিভূত। থ্রিলার বানাচ্ছেন মৈনাক ভৌমিক। এবং বাস্তবে যেমন ঘটে ঠিক তেমন ভাবেই পর্দায় তিনি ভালো-মন্দ, সাদা-কালোকে ডিটেকশন টেবিলে ফেলে দেখার চেষ্টা করেছেন। আমার মনে হয়, এর জন্যই দর্শকের ভালো লাগবে বর্ণপরিচয়। আর পর্দায় যে গল্প দেখাতে চলেছেন মৈনাকদা সেটা কিন্তু যখনতখন, যে কারোর সঙ্গেই ঘটতে পারে। ফলে, ছবি করতে করতেই আমরা ভীষণ থ্রিলড হয়েছি।
প্রশ্ন: আপনাকে নিয়ে মৈনাকদার কী মত জানেন? আপনি ১০ বছর পরেও নাকি ‘বড়’ হননি। কিন্তু অভিনয় প্রতিভা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে!
উত্তর: (হেসে ফেলে), এটা পুরোটাই ভালোবাসা থেকে বলা। মৈনাকদা আমায় খুব ছোট থেকে দেখেছেন তো। ভীষণ স্নেহ করেন। আর ভরসা রাখেন বলেই তাঁর প্রথম থ্রিলারে মালিনী চরিত্র করতে দিয়েছেন।
প্রশ্ন: মালিনী কেমন? আপনার মতোই?
উত্তর: ছবিতে আমি পুলিশ অফিসার ধনঞ্জয় মানে যীশুদার বউ। খুব কম সময়ের মধ্যে আমাদের ভালোবাসা, বিয়ে, সংসার দেখানো হয়েছে। একছাদের নীচে এলে যে চানাপোড়েন তৈরি হয় সম্পর্কে, সেটাও বলা হয়েছে খুঁটিয়ে। একসময় ঘটনার ঘাত-প্রতিঘাতে আমাদের মাঝে দূরত্ব এসে গেলেও ভালোবাসায় কিন্তু ভাটার টান ধরেনি। অনেক শেড রয়েছে এখানে। পুরোটা বললে তো আর কেউ হলে দেখতে যাবেন না আমায়। তাই এটুকুই থাক। তবে, মালিনীর মতো মনের জোর সত্যিই আমার নেই।
প্রশ্ন: পুলিশ স্বামীদের নিয়ে নাকি তাঁদের স্ত্রীদের অ-নে-ক অভিযোগ। পর্দায় সেসব আছে? আপনি সামনাসামনি কোনও পুলিশ অফিসারের বউকে দেখেছেন?
উত্তর: যতই অভিযোগ থাক, মানতেই হবে ওঁরা না থাকলে আমরা কিন্তু নিরাপদ নই। যখন পুজোর সময় সবাই হুল্লোড়ে মাতি ওঁরা তখনও কাজ করেন। বাড়িতে বউ-বাচ্চাকে রেখে। ওঁরা না থাকলে চারটে দিন এভাবে আনন্দ করা যেত? কিন্তু বউদেরও তো ব্যক্তিগত কিছু চাহিদা থাকে স্বামীর কাছে। মালিনীরও আছে। পর্দায় সেটা দেখানোও হবে। চেষ্টা করেছি আপ্রাণ সবটা ফুটিয়ে তুলতে। আমার মতো করে।
প্রশ্ন: ছবিতে এবং বাস্তবেও আপনি এক ছেলের মা। রিলের ছেলের সঙ্গে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে।চরিত্রের সঙ্গে একাত্ম হতে গিয়ে কখনও সহজের মুখ মনে পড়েছে? দুশ্চিন্তা হয়েছে?
উত্তর: না, সহজকে নিয়ে কোনও দুশ্চিন্তা হয়নি। তবে সহজের দৌলতে আমি যেকোনও বাচ্চার কাছেই ভীষণ সহজ। পর্দায় আমার ছেলে গোগোলকে সেটেও একই নামে ডাকতাম। বাচ্চাদেরও তো মুডের ব্যাপার আছে! গোগোলকে খুশি রাখতে আমি, যীশুদা সারাক্ষণ খেলতাম ওর সঙ্গে। গোগোল কোনও সিনেমা দেখে আমাদের বলত, জানো, আজ আমি অমুক সিনেমা দেখেছি! খুব এনজয় করেছি গোগোলের সঙ্গ। সেটে সহজকে না পাওয়া অনেকটাই ভুলিয়ে দিয়েছে গোগোল।
প্রশ্ন: মনে রাখার মতো কিছু শট বা স্মৃতি?
উত্তর: (হাসি) একাধিক। কোনটা ছেড়ে কোনটা বলি! প্রথমত, যীশুদার পাশে আমাকে কতটা মানাবে তাই নিয়ে কনফিউস ছিলেন আমি আর মৈনাকদা। ওই যে বলেছেন, আমি নাকি বাচ্চা মেয়ে! মনিটরিংয়ের পর দেখে বললেন, চলবে। আমি, মৈনাকদা দুজনেই সেদিন স্বস্তির শ্বাস ফেলেছিলাম। দুই, যীশু সেনগুপ্ত আর আবীর চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক ফ্রেমে অভিনয়। যতটা না নার্ভাস, তার থেকেও বেশি ঘেঁটে ‘ঘ’। বাংলার এখনকার দুই হার্টথ্রবের সঙ্গে অভিনয়ে পাল্লা দেওয়া। এটা চাট্টিখানি কথা? তিন, ধাওয়া করার সিন, বা অ্যাকশন দৃশ্যে নিজে অভিনয় করাটাও মনে রাখার মতোই ঘটনা। কী বলেন? চার, আমি একেবারেই মালিনী নই। মালিনী অনেক ঠাণ্ডা মাথার। খুব ভালো ডিসিশন নিতে পারে। আগেও বলেছি, ও প্রচণ্ড সাহসী। নিজে যা নই সেটা করে দেখানো কিন্তু কম কথা নয়!
Source : bit.ly/2oXOLyBInvestor Relations